বিশেষ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে একই বাড়ীর স্কুল ও মাদ্রাসায় পড়–য়া দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়া এবং ৪৮ ঘন্টা পর তাদের রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হওয়ার ঘটনায়, অবশেষে ১৯ আগষ্ট বুধবার রাতে থানায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাতেই মামলার ১ ও ২ নং আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেলিনা আক্তারের মা’ রেনু বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে বুধবারর রাতে। পুলিশ হাতে মামলা পেয়েই রাতে আসামী ধরার অভিযানে বের হয়। তাৎক্ষনিক অভিযানে, মামলার ১ নং আসামী পৌর এলাকার ভাটিরগাঁও গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৪০), স্বামী আমান উল্যা মিজি ও ২ নং আসামী চির্কা গ্রামের আবুল বাসার (৪৮) পিতা মৃত রহমান মিজিকে গ্রেফতার করে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে গেছে।
উল্লেখ্য গত ১৬ আগষ্ট পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর মিজি বাড়ী থেকে ১২ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ১৪ বছর বয়সী অপর এক স্কুল শিক্ষার্থী গত রোববার একই বাড়ী থেকে অপহরণের শিকার হয়। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীর মা সোমবার ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। থানায় জিডি এবং ওই বিষয়ে আশপাশের বাড়িগুলোতে হৈচৈ শুরু হলে, পাশের বাড়ির জনৈক আমানের স্ত্রী তাদের সন্ধান দিতে পারবেন বলে জানায়। এর কিছুর পর শিক্ষার্থী দুজনকে চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা এলাকা থেকে উদ্ধার করে সিএনজি যোগে জেলা পরিষদের ফরিদগঞ্জের ডাক বাংলোরের কাছে নিয়ে আসে। এই বিষয়টি শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ দুই ছাত্রীসহ অভিভাবকদেরকে থানায় যাওয়া কথা বললেও তারা থানায় না গিয়ে রাতে সরাসরি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করান।
শিক্ষার্থীদের পরিবারের একজন জানান, তাদের দুই ছাত্রীকে অপহণের করা হয়। অপহরণকারীরা পুলিশী ভয়ে ওই শিক্ষাথীদের রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার করেছে। তাদের শারীরি অসুস্থতা দেখে তাদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। এই ঘটনায় এলাকার চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।