ফরিদগঞ্জে খেলার মাঠ রক্ষার দাবীতে শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি:
‘আমরা সবাই কিশার ভাই সুস্থ্য বিনােদনের জায়গা চাই’ এই শ্লোগান নিয়ে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তােষপুর এলাকায় খেলার মাঠ রক্ষার দাবীত মানববন্ধন করেছে যুব সমাজ, শিক্ষার্থী, খেলোয়াড় ও এলাকাবাসী। বুধবার (১৫জুন) দুপুরর উপজেলার চরদু:খিয়া পুর্ব ইউনিয়নের সন্তােষপুর দারুলছুনাত ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মাঠের উপরই সাইক্লােন সেন্টার হওয়ার কথা। যা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দুর্যােগ পরবর্তী সময় শ্রেণি কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যুব সমাজের পক্ষে মানিক হাসান । এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান আমাদর এলাকার জন্য সাইক্লান সেন্টারের যে প্রকল্পটি দিয়েছেন আমরা এতে আনন্দিত। কিন্ত এই প্রকল্পটি যেন জনস্বার্থে হয়, কারাও ক্ষতি যেন না হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি মাদ্রাসার পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরও মাঠ দখল করে ভবন করার পরিকল্পনা চলছে। যুব ও কামলমতি শিক্ষার্থীরা এই মাঠ প্রতিদিন খেলাধূলা করে। খেলার মাঠ যদি না থাকে তাহলে তারা খেলাধূলা করবে কােথায়?
তাই আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে সবাইকে জানাতে চাই খেলার মাঠ রেখে, মাঠের পাশে সাইক্লােন সেন্টরটি করা হােক । এসময় উপস্থিত ছিলেন আবজাল হােসেন,ফয়সাল হাসন,সাদ্দাম হােসন,রাবি হাসান,সাহাদাত হােসন,গাজী আল আমিন, সাহাদাত সাকিব, জাহিদ, আবদুল আহাদ,কাজী জাহিদ,তানবির মিজি,রায়হান কবিরাজ,সজিব সাহাগ,হাসন,শাওন,তুহিন,তানবির হাসন, মানিক কবিরাজসহ কামলমতি শিক্ষার্থীবদ। মানববন্ধন শষ উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারর কার্যালয় লিখিত আবেদন করেন।
চরদুঃখিয়া পুর্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজ বলেন, ইউনিয়ন এই খেলার মাঠ ছাড়া আর কােন বড় মাঠ নেই। মাদ্রাসার প্রায় ১ একর জায়গা, খেলার মাঠ বাদ দিয় তারা করতে পারে। আমি উপজলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযােগ করছি।
দারুলছুন্নাত ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ ফ ম সাইফুল্লাহ জানান, ভবনের দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট প্রস্থ ৫৫ ফুট। মাঠের বাহির কােন দিক দিয় দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট নেই,আছে মাত্র ১১০ ফুট। তাই সাইক্লােন সেন্টারটি মাঠেই করা হচ্ছে, এখান আমাদের কিছু করার নেই।
ঠিকাদার জাকির হােসন জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে যেখান বলবে আমি সেখানেই কাজ করবো। আমি ব্যক্তিগতভাবও চাই খেলার মাঠ থাকুক।
এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা জানান, আমি এ সম্পর্কে অবগত নই। এখন যেহেতু জানতে পেরেছি, বিষয়টি আমি দেখবো। যদি মাদ্রাসার জায়গা থাকে তাহলে খেলার মাঠ রক্ষা করে প্রকল্পটি যেন হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবাে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *