ফরিদগঞ্জে দুই শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ ॥ রহস্যজনক উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে একই বাড়ীর স্কুল ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘন্টা পর তাদের রহস্যজনক ভাবে হদিস মিলেছে। তাদের পরিবারের অভিযোগ ওই ছাত্রীরা অহরণের পর ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অসুস্থ্য অবস্থায় দুই ছাত্রীকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিখোঁজের পর ওই দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে একজনের মা থানায় জিডি করলে করেছেন। গত ১৮ আগষ্ট রোববার ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর মিজি বাড়ী থেকে ওই দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তারা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার বিকালে এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্র ও পরিবারের লোকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ভাটিয়ালপুর মিজি বাড়ী থেকে ১২ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ১৪ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থী গত রোববার একই বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীর মা সোমবার ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। থানায় জিডির এবং ওই আশপাশের বাড়িগুলোতে হৈচৈ শুরু হলে, পাশের বাড়ির জনৈক আমানের স্ত্রী তাদের সন্ধান দিতে পারবেন বলে জানায়। এর কিছুর পর শিক্ষার্থী দুজনকে চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা এলাকা থেকে উদ্ধার করে সিএনজি যোগে জেলা পরিষদের ফরিদগঞ্জের ডাক বাংলোরের কাছে নিয়ে আসে। এই বিষয়টি শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ দুই ছাত্রীসহ অভিভাবকদেরকে থানায় যাওয়া কথা বললেও তারা থানায় না গিয়ে রাতে সরাসরি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করান।
শিক্ষার্থীদের পরিবারের একজন জানান, তাদের দুই ছাত্রীকে অপহণের করা হয়। অপহরণকারীরা পুলিশী ভয়ে ওই শিক্ষাথীদের রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার করেছে। তাদের শারীরি অসুস্থ্য অবস্থায় দেখতে পেয়ে তারা ধারনা করছেন তাদেরকে নেশা জাতীয় ঔষধ সেবন করে ধর্ষণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজা উদ্দৌলা রুবেল জানান, দুই ছাত্রীর পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে।
ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই শিকদার হাসিবুর রহমান হাসিব বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর সোমবার এক শিক্ষার্থীর মা থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। সে আলোকে এলাকায় গিয়ে জানতে পারি রুবেল নামে ঢাকায় বসবাসরত এক ছেলের সাথে এক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক রয়েছে। সে হিসেবে এলাকায় বিভিন্ন লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে করে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *