মাঝরাতে ১১০-১৩০ কি.মি. বেগে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উ

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও ঘণীভূত হয়েছে এবং তা শনিবার মাঝরাত নাগাদ সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। দেশে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ মহাবিপদ সংকেত।

আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সাথে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ এ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সংকেতের আওতায় থাকবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো।

৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার দেশের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও বরগুনাসহ উপকূলীয় জনপদে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য খুলনা নৌঘাঁটি তিতুমীরে পাঁচটি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *