মামলার ভয়ে বিপন্ন শিক্ষা জীবন : ভোটার তালিকায়ও ছবি তুলতে পারেনি শিক্ষার্থীরা

ফরিদগঞ্জে মিথ্যা মামলায় জড়িত আট শিক্ষার্থীদের মায়ের সংবাদ সম্মেলন

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো : ব্যবসায়ীর কর্মচারী কর্তৃক মায়ের সাথে অশ্লীল আচরনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আটজন শিক্ষার্থী মামলায় জর্জরিত। গ্রেফতার আতংকে তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ছবি তুলতে পারেননি চার শিক্ষার্থী। মামলার কারণে কয়েকজনের অনার্সে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মামলার পিছনে কলকাঠি নাড়ছে রাজনীতির নোংরা খেলা। এসব অভিযোগ করে নিজেদের সন্তানদের অনাগত ভবিষ্যত রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ৮জন শিক্ষার্থীর মায়েরা। মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসকাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তার বিপুল সংখ্যক স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২নং চরদু:খিয়া বিরামপুর বাজরের ব্যবসায়ী তোফায়েল বেপারীর কর্মচারী আব্বাছ হাওলাদার (শ্যালক) তার দোকানে কেনাকাটা করতে আসা মহিলা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা প্রায়শঃই অশ্লীল আচরনের শিকার হয়। এই ধরনের আচরনের শিকার হন বিরামপুুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী রোসনারা বেগম ও টিটু বেপারীর স্ত্রী নাছরিন আক্তার। বিষয়টি জানতে পেরে গত ১অক্টোবর মঙ্গলবার তাদের সন্তান নাঈম ও রিয়াজ তাদের কয়েকজন বন্ধু ওই দোকানীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে, তাদের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে কর্মচারী আব্বাছ তার সহযোগিদের নিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করে আটকে রাখে। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় নেছারের আহম্মেদের সালাউদ্দিন মিঠু ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
কিন্তু পরবর্তীতে দোকানের মালিক তোফায়েল বেপারী তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ফরিদগঞ্জ থানায় গত ৩ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামী করা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেছার আহাম্মেদের ছেলে সালাউদ্দিন মিঠু(২৪), আঃ মান্নানের ছেলে নাঈম বেপারী ( ১৯) হোসেন বেপারীর ছেলে রাকিব(১৯), টিটু বেপারীর ছেলে রিয়াজ(১৭),মনির গাজী ছেলে মাসুম গাজী(১৮), খোকন বেপারীর ছেলে পবন(১৭), আনিছ গাজীর ছেলে আফসার হোসেন(১৬) , শরিফ গাজীর ছেলে জাফর(১৭) । অথচ মামলায় তাদের প্রত্যেকের বয়স বেশি দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষার্থীদের মায়েরা অভিযোগ করেন, মামলার ভয়ের পালিয়ে থাকায় তাদের চার সন্তান চলমান হাল নাগাদ ভোটার তালিকার ছবি তুলতে পারেন নি এবং বেশ কয়েকজন অনার্সে ভর্তি হতে পারছেন না। তারা অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী ও তাদের লোকজন তাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করছেন। এসব কর্মকাণ্ডে পিছন থেকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে। তাই ঘটনার প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন পূর্বক তাদের সন্তানদের বিপন্ন হতে যাওয়া শিক্ষা জীবন ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানান। #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *