ফরিদগঞ্জে নেশাজাতীয় খাবার ও স্প্রে: দুই পরিবারের ৯ জনকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো : ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তরা খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এবং স্প্রে ব্যবহার করে ঘরের সকলকে অজ্ঞান করে লুটে নিয়েছে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই পরিবারের ৯ জন সদস্য। এরা হলেন তালুকদার বাড়ির মৃত মফিজুল হকের ছেলে আঃ মালেক তালুকদার (৬০), তার ছেলে আলমগীর (১৮), মেয়ে আয়েশা (১৫), মালা (৮) এবং তপাদার বাড়ির মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে কামাল হোসেন (৫৬), তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০), ছেলে আরমান হোসেন রনি (৮), মেয়ে হাফছা (১৯) ও তার স্বামী মহসীন পাঠান (৩০)। গত রোববার রাতে উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের গফুর মাস্টার তালুকদার বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী তপাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ইউপি সদস্য এমরান হোসেন ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সাহাপুর গ্রামের গফুর মাস্টার তালুকদার বাড়ির আঃ মালেক তালুকদারের ঘরের রাতের খাবারে কে বা কারা নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। তাতে ওই পরিবারের সদস্যরা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী তপাদার বাড়ির কামাল হোসেনের ঘরের লোকজনকে চেতনানাশক স্প্রে করে অজ্ঞান করে ফেলে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, দুটি ঘরের একটি ঘরের টিনের বেড়া কেটে ঘরে দুর্বৃত্তদের প্রবেশের চিহ্ন দেখা গেছে। সকালে ওই দুই ঘরের কেউই ঘুম থেকে না ওঠায় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা ভেতরে ঢুকে তাদেরকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে তারা সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যায়। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েচিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া ঘটনা অনুসন্ধানে ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে চিকিৎসক ডাঃ মোজাম্মেল জানান, সাহাপুর গ্রামের কামাল হোসেনের পরিবারের ৫ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে রোকেয়া বেগমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে।ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাকিব জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার তদন্ত চলছে। অসুস্থরা পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন জানান, ঘটনা সত্য। আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি দ্রুত এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *