শারদীয় দুর্গোৎসবে মহাঅষ্টমী আজ। জগতমাতার আরাধনায় হবে কুমারী পূজা। ষষ্ঠী তিথিতে আমন্ত্রণ আর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেবীর বোধন পূজা। গতকাল সপ্তমী তিথির ঊষালগ্নে নবপত্রিকা স্নান শেষে চক্ষু দানের মধ্য দিয়ে প্রাণসঞ্চার করা হয়েছে দেবীর মৃন্ময়ীতে। আজ পালন হবে শারদীয়া দুর্গা উৎসবের সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিকতা মহাঅষ্টমী ব্রত।
নতুন কাপড় আর বাহারি সাজে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে দেয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি। শঙ্খ, উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে আনন্দে মেতে উঠবে সকলে। আরাধনা করা হবে দেবী দুর্গার। পূজা শেষে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ। আর সন্ধ্যায় হবে সন্ধিপূজা।
এই দিনেই মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগৎ জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হবে কুমারী পূজা। শাস্ত্র মতে, এদিন পূজিত কুমারী কন্যার নামকরণ করা হয় ‘উমা’। ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মূলত নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা।
সনাতন ধর্মমতে, বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে তাকে দেবীজ্ঞানে পূজা করাই কুমারী পূজা। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে, এর আয়োজন।
আগামীকাল মহানবমী এবং মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গা ফিরবেন কৈলাশে।