
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এর কামালপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সেচ পাম্পের মেশিন পার্শ্ববর্তী ওয়াপদা খালে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা আক্কাস গাজীর ছেলে আবুল কাসেম গাজী (৩৫) সে প্রায় ৪০একর ফসলী জমিতে দীর্ঘদিন ধরে সেচ পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করে আসছেন। আসন্ন ইরি মৌসুমে তিনি যখন কামালপুর বিলে সেচ দিচ্ছিলেন ঠিক এই সময় প্রতিবেশী নদনা গ্রামের লালা মিয়া (৬০) শাকিল (২৫) ও হানিফ (২৭) বেস্পতিবার সকাল আনুমানিক সকাল ৬:৩০ ঘটিকার সময় তিনজনের যোগসাজশে সেচ পাম্পটি স্ক্রিম পয়েন্ট থেকে পার্শ্ববর্তী ওয়াবদা খালে ফেলে দিয়ে তারা চলে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে আবুল কাশেম গাজী মেশিনের কাছে ছুটে আসেন। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করলে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী নার্গিস বেগম বলেন, নানা মিয়া ও তার দুই সহযোগী মিসিং ফেলে দিলে কি হবে এ কথা বলতে বলতে মেশিনের দিকে গিয়ে মুহুর্তের মধ্যে মেশিনটি পানিতে ফেলে দিয়ে তারা চলে যায়। অন্য আরেক ব্যক্তি ফাহিমা বেগম শিল্পী বলেন, আমি যখন পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে যাচ্ছি আমার সাথে অভিযুক্ত ওই তিনজনের সাথে ক্রসিং হয়। কিছুক্ষণ পরেই শুনি আবুল কাসেম গাজী সেচ পাম্পের মেশিনটি উপরে নেই খালি পড়ে আছে তবে আমি নিশ্চুপে কাউকে সেচ পাম্পটি পানিতে ফেলতে দেখিনি। অন্য এক সেচ পাম্পের মালিক সোহাগ বলেন লাল মিয়া গত তিনদিন আগে আমার মেশিন কুপিয়ে নষ্ট করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আবুল কাসেম গাজী তার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ওই দিনে দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই জামশেদ মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সাব্যস্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম গাজী বলেন, ঘটনাটি আমাকে আবুল কাসেম গাজী জানিয়েছে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছি মেশিনটি খালে পড়ে আছে। কৃষকের মাঠে এখন ফসল, এখনো পানির অনেক প্রয়োজন রয়েছে এই মুহূর্তে যারা এই ধরনের কাজ করেছে। তাদের উপযুক্ত বিচার হওয়া প্রয়োজন।