ফরিদগঞ্জে বাড়ছে সূর্যমুখী চাষ,স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা

মামুন হোসাইনঃ ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখী ফুল চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় । কম খরচে আর স্বল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় খুশি চাষিরা। আর সূর্যমুখী ফুল চাষে সহযোগিতা করছে স্হানীয় কৃষি অফিস।আর সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন। ফলে উপজেলান ভিবিন্ন এলাকায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে। বাগানে আসছে বিভিন্ন বয়সের ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। উপভোগ করছে ফুলে অপরূপ সৌন্দর্য।ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চাইতে একটু আলাদা।সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানসিক চাপ দূর করে। এককথায় সূর্যমুখী তেলে মানবদেহের মহাওষুধ হিসাবে ভূমিকা পালন করছে। আর সে কারণেই ফরিদগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন,একটি পৌরসভায় প্রায় ৩০ চাষি বারি সূর্যমুখী-২ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরাও।

জসিম উদ্দিন নামে ফুল দেখতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। এক সঙ্গে হাজারো সূর্যমুখী ফুটে আছে। খুব এনজয় করছি। এখানে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী আসেন ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এসময় আমাদের বাসায় আত্মীয়-স্বজন এলে আমরা তাদেরকেও এই বাগান দেখাতে নিয়ে আসি।

কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে খরচ কম, অধিক লাভ হওয়ার কারণে এই ফুলের চাষ করেছি। সার-ওষুধ কম লাগে। ফলে অধিক লাভবান হতে পারি। আমার চাষাবাদ দেখে আশপাশের কৃষকরাও এ ফুল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯৫ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। এক একর জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রায় এক টন বীজ উৎপাদন হয়, এক টন বীজ ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা বিক্রয় করা যায়। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক বিন জামিল বলেন, ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধী অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখী ফুল চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। আমরা চাষিদের দিয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে থাকে।দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *