
মামুন হোসাইনঃ মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন করেছিল বাঙ্গালীর সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের জন্যই আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন দেশ। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেলেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের মাহাজন বাড়ির বাসিন্দা। তিনি বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নিজের জীবন বাজি রেখে এদেশ স্বাধীন করেছি। এক সময় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেলেও ২০১২ সালের পর থেকে আমার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। আমার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল সনদপত্র রয়েছে।
২০-০৯ সালেল ২৪ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে সাময়িক সনদ দেন (যার সিরিয়াল নং ম- ১০৫৫৪০) এবং ফরিদগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের সিরিয়াল নাম্বার ০২০৫০৫০৬৩৭ । সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রƒয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলা যাচাই বাচাই কমিটির প্রতিবেদনে ১৫৮ নং সিরিয়ালে আমার নাম লিপিবদ্ধ হয়। আমার নাম, ফরিদগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ভাতার বই নং ৫০৪। আমি টানা ৮ বছর ভাতা পেয়েছি। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক (একাউন্ট নং ২০৩৬৩) ভাতা উত্তোলন করি।
তিনি বলেন, আজ আমি অবহেলিত, আজ আমি হার্টের সমস্যা, মুখ দিয়ে রক্তপড়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না, এমন আমার ৪ পুত্র ১ কন্যা । তারাও আমার খোঁজ খবর নেয় না।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, আমি যাদের সাথে যুদ্ধ করেছি গুলশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজান, বলদা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা করিম, আইলের রাস্তা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা বাদশা ও আজিজ তারা সকলে ভাতা পায়। তাহলে আমি কেন ভাতা থেকে বাদ পড়লাম। এখন আমার পাশে কেউ নেই। না পাচ্ছি ভাতা, না পাচ্ছি সন্তানদের সহযোগিতা।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার ও চলতি দায়িত্ব পালন করা সহিদ উল্ল্যা তপাদার জানান, মোঃ নুরুল ইসলামসহ অনেকের যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া এই বিষয়ে আদালতে মামলাও রয়ছে। আশাকরছি মামলা নিষ্পত্তি হলেও এবং পুনরায় ভাতা চালু হলে তিনিসহ সকলেই অন্যান্য সকল সুবিধাধি পাবেন।