
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জের জেলে অনাথ হত্যা মামলায় সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে জেল হাজতে থাকা ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক, দাসপাড়া যুবসংঘের সহসভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাস মায়ের মৃত্যুজনিত কারণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্যারোলে মুুক্তি পেলেন। জেলে অনাথ দাস খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে চাঁদপুরের পিবিআই। লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিনের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয় তারা।
জানা গেছে, জেলে অনাথ দাস হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গত ৪মাস ধরে জেল ভোগ করা ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক , দাসপাড়া যুবসংঘের সহসভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাসের মা বিমলা সুন্দরী বৃহষ্পতিবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন।
পরে মৃত মায়ের সৎকারের জন্য চাঁদপুর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিসের কাছে আবেদন করে তার পরিবার। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিশেষ ভাবে ৫ ঘন্টার প্যারোলে মুক্তি দেন শ্রীকৃষ্ণ দাসকে। পরে তাকে নিয়ে পুলিশের একটি বিশেষ টিম বৃহষ্পতিবার রাত ৯টায় তাকে নিয়ে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার দাসপাড়ায় এসে পৌছে। পরে তাকে নিয়ে শস্মানে নিয়ে গিয়ে মায়ের শেষ কৃত সম্পন্ন করে।
এদিকে পেরোলে শ্রীকৃষ্ণদাসের মুক্তি কথা শুনে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে লোকজনকে ভিড় কতে দেয়া যায় দাসপাড়া এলাকায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ জুলাই উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের জেলে অনাথ দাস বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ৭দিন পর তার লাশ কড়ৈতলী গ্রামের একটি খালে তার লাশ মিলে। ওই ঘটনায় নিহত অনাথ দাসের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে (২৫ জুলাই) মামলা দায়ের করলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ওই রাতেই সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক , দাসপাড়া যুবসংঘের সহসভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাসকে আটক করে। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ইতিমধ্যেই ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সুবল দাসসহ ৪জন আটক হয়। সুবল দাস ও সোহাগ নামে দুই জন স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেন।