
বিশেষ প্রতিনিধি: ফরিদগঞ্জে গত এক সপ্তাহে ৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ বৃহস্পতি রাতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো। এই কিশোরটি হচ্ছে ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন পশ্চিম বড়ালি গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে শামীম হোসেন। বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের লোকজন জানায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে। এব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে খাবার খেয়ে সে তার ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ডাকাডাকি করে তার সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখা যায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার রাতের যে কোনো সময় সে এঘটনা ঘটাতে পারে।
ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নাসির হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে কয়েকটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যাতে ধারনা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সে এঘটনা ঘটাতে পারে। শামীম ছয় ভাইয়ের মধ্যে ছিলো পঞ্চম। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারী গোবিন্দপুর গ্রামে হাসি আক্তার ঝর্না(১৬) নামে এক কিশোরী গৃহবধূ বিষপানে, ৩১ জানুয়ারী বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সোসাইরচর গ্রামের বাইশ্যা বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান(১৯) গলায় ফাঁস দিয়ে, ৩ ফেব্রুয়ারী সন্তোষপুর গ্রামের রাঢ়ি বাড়ির রাকিব হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী সুইটি আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।