বিশেষ প্রতিনিধি:
গ্রামের মেঠোপথ পেরিয়ে ঝোপঝাড়। তারপর নর্দমা। এতে নিছক সখের বসে কেউ কারো খবর নেবেন। এমন পরিস্থিতি এখন আর নেই। তবে একজন আছেন। তিনি মানুষের খোঁজ খবরও নিচ্ছেন, আবার দরিদ্র অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দিচ্ছেন। চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হকের কথা বলছি। করোনা পরিস্থিতিতে এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার এই মেয়র।
হতদরিদ্রদের মাঝে তার এমন ছুটে চলার দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছেন।
ফরিদগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শহীদ উল্লাহর ছেলে তিনি।
দেশ মাতৃকার জন্য বাবার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, মাহফুজুল হক। তাই জনপ্রতিনিধি হয়ে পৌরসভার সর্বত্র ছুটে যাচ্ছেন তিনি।
সারাদেশে যেখানে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে লাইনে দাঁড় করিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সেখানে বিপরীত চিত্র তুলে এনেছেন মেয়র মাহফুজুল হক।
পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ও পরে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ১২ হাজার পরিবারের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা নিয়ে ছুটে গেছেন তিনি। এই পৌরসভার মিরপুর গ্রামের গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম (৫০) বলেন, অতীতে এভাবে কেউ আমার বাড়িতে আসেননি। তিনি আরে বলেন, সাহায্য বড় কথা নয়। আমার মতো একজন অসহায় নারীর দুর্ভোগ দেখতে মেয়র যেভাবে ছুটে আসলেন। এটাই তো আমার জন্য অনেককিছু পাওয়া।
একজন জনপ্রতিনিধি এভাবে ছুটে চলার কাহিনীকে অনেকটা অবিশ্বাস্য কান্ড বলে জানালেন, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, মেয়র মাহফুজুল হকের এমন পথচলা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিভিন্ন ধাপে ভিজিএফ ও অন্যান্য বরাদ্দ মিলিয়ে ১ শ ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন, মেয়র মাহফুজুল হক।
এসব চাল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করতে গিয়ে নিজস্ব তহবিল থেকে আরো সহায়তা দিয়েছেন, আলোচিত এই মেয়র।
শুধু তাই নয়, কোভিড১৯-করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে সাধারণ মানুষের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য সামগ্রীও বিতরণ করেন তিনি।
এদিকে, মেয়র মাহফুজুল হক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে অসহায় সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছি। এই মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা চান তিন।