জাকির হোসেন সৈকত: দেশ যখন লক ডাউনের পথে ঠিক সেই সময়ে গ্রামের মানুষের সহিংসতা বেড়ে চলছে। গত কয়েকদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয় । গত সোমবার রাতে উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মহাজন বাড়িতে রাতের আঁধারে ২০/২৫জন লোক সেলিনা বেগমের বাড়িতে হামলা করে সেলিনাসহ কয়েক জনকে আহত কে । পরে পাশবর্তি এলাকার রাকিব হোসেন ও রাকিব হাসান বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা করে ওই চক্রটি। এসময় তাদের ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেলিনা বেগমের ভাই টেলু বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরনীতে জানাযায়, একই ইউনিয়নের পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের হুন্ড গাজী, শরীফ হাওলাদার,বাবু ভূইয়া, জুয়েল গাজী, মমিন গাজী, আবদুল্লাহ সহ আরো অনেকে টেলুর বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। দেশের করোনা ভাইরাসের কারনে তাদের কে আপাতত বাড়ি উপর দিয়ে চলাফেরা না করার কথা বলে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে তারা সোমবার রাতে ২০-২৫ জন লোক দলগত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টেলুর বোন সেলিনা বেগমের বাড়িতে হামলা করে। এসময় সেলিনার হাত ও মাথায় জখম করে ফেলে তারা। সেলিনার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির রাকিব দৌড়িয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। এসময় তারা ঘরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। আহতদের কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রকিব বলেন, আমরা সোমবার রাতে মারামারি কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেই। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।