
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, আলোকিতফরিদগঞ্জ: করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। রোববার (০৮ মার্চ) ব্রিটেনে যে তৃতীয় ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন, তিনি একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত বাংলাদেশি। সংক্রমণ ধরা পড়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ম্যানচেস্টারের এক হাসপাতালে ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান। খবর বিবিসির
জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ইতালি যান। তখন তিনি বয়সে তরুণ। পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি পরিবারসহ পাকাপাকিভাবে ব্রিটেনে চলে যান। তিনি ব্রিটেনে থাকলেও ইতালিতে বেড়াতে যেতে পছন্দ করতেন। এবারও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তিনি সেখানে যান।
তখনও ইতালিতে করোনা ভাইরাস এত ব্যাপকভাবে ছড়ানোর কথা শোনা যায়নি। কিন্তু তিনি যে দুই সপ্তাহ ইতালিতে ছিলেন, তার মধ্যেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। ব্যাপকভাবে সেখানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ তিনি ফিরে আসেন ইতালি থেকে। তখনও তিনি সুস্থ। রোববার নর্থ ম্যানচেষ্টার জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর পেলেও আমরা কিছুই করতে পারছি না, কোথাও যেতে পারছি না। কারণ আমাদের সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড থেকে আমাদের সবার কাছে টেক্সট আসে। তারা জানতে চায়, আমাদের সব ঠিক আছে কিনা। আমাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণ আছে কিনা। প্রতিদিন আমাদের সেই টেক্সটের জবাব দিতে হয়। এখন পর্যন্ত আমরা সবাই ভালো আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের কারও মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই। আমরা যেহেতু আইসোলেশনে আছি, তাই আমার বাবার জানাজা বা দাফন কোনো কিছুই করতে পারছি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মরদেহ আরও কিছুদিন মর্গে রেখে দেবে। আরও এক সপ্তাহ পর যখন আমাদের মুক্তি মিলবে, তখন আমরা বাবার জানাজা, দাফন এগুলোর আয়োজন করতে পারব।’