ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফোরামের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মিলনমেলায় দাবি জানানো হয়, ফরিদগঞ্জে আগামী দিনের নেতৃত্ব প্রাক্তন ছাত্রলীগকে দিতে হবে। এমনটি প্রত্যাশা করেছেন উপজেলার শীর্ষস্থানীয় সকল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানী ঢাকার ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে শুরু হয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটি রাতের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফোরামের সভাপতি এসএম মুনির হোসেন মুনিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বেনজির আহমেদ সুমন ও সহ-সভাপতি মোঃ রসু মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমি গর্ববোধ করি আমি একসময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। প্রতিহিংসার রাজনীতি ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা কা-ারী ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, ফরিদগঞ্জ এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য। আমাদের সকল সাবেক ছাত্র নেতাদের এ মাদকের হোতাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এ লড়াইয়ে আমি সকল সাবেক ছাত্র নেতাদের পাশে চাই। যাদের দলের জন্যে আবেগ ও ভালবাসা আছে, যারা শেখ হাসিনার জন্যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত তারাই প্রকৃত ছাত্রলীগ। আর তাদের হাতেই আগামীদিনের ফরিদগঞ্জ নিরাপদ থাকবে।
অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযাদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, অর্ধ শতাব্দী পূর্বে আমি ফরিদগঞ্জে ছাত্রলীগের হাল ধরেছি। আমার ২৩ বছর বয়সে আমি ছাত্রলীগে ভর্তি হই। তারপর আমাকে চাঁদপুর মহকুমার এ এলাকার দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি ছয় বছর কারাগারে ছিলাম। বের হয়ে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা বিরোধী আন্দোলন করেছি। এখনও আন্দোলন চলছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে। তাই ত্যাগী ছাত্রলীগের হাতে এ উপজেলার আগামীদিনের দায়িত্ব দিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ-এর (চামেকসুর) সাবেক ভিপি ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ হারুন অর রশিদ সাগর বলেন, ফরিদগঞ্জের আগামী দিনের নেতৃত্ব প্রাক্তন ছাত্রলীগকে দেয়ার জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, জনসাধারণের মুখের ভাষা বুঝতে হলে অবশ্যই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে আনতে হবে। তারা জাতির জনকের আদর্শ লালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে।
অন্যান্য অতিথির মধ্যে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমির আজম রেজা, মহিউদ্দিন খোকা, আলহাজ্ব রফিকুল আমিন কাজল, ওয়াহিদুর রহমান রানা, হারিস হাসান সাগর, আবুল হাসনাত হাশেম খান, মশিউর রহমান মিঠু, সাইফুল ইসলাম রিপন, আবদুস সালাম আজাদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, হেলাল উদ্দিন, কামরুল হাসান সাউদ ও মনির হোসেন।
ফোরামের সদস্যদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন ফোরামের সহ-সভাপতি মোরশেদ আলম, সফিকুল ইসলাম খান, ফারুক আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মোজাম্মেল হক আজম, যুগ্ম সম্পাদক মজিবুর রহমান, রেজাউল করিম সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সাউদ, অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, তথ্য সম্পাদক আনিসুজ্জামান, সদস্য হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে কেক কাটা, কনসার্ট ও রাতের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।