ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক অসহায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন: মামলা দিয়ে হয়রানী, তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযােগ!

স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদগঞ্জে কোনো প্রকার ঘটনা ছাড়াই মিথ্যে গল্প রচনা করে একটি অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হাজতবাস করানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, ওই মামলাটির সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই আদালতে রির্পোট দেওয়ার অভিযোগ ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক (এস.আই) নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

২৭ এপ্রিল (বুধবার) বিকেলে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এমনটাই দাবী করেছেন হয়রানীর শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর এ অভিযোগটি উপজেলার ৫ নং গুপ্টি ইউনিয়নের মো. মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল বেপারি, ইউসুফ বেপারি, রিয়াদ বেপারি ও জসিম বেপারিসহ একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী সুজন ভাট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের একই বাড়ীর বাসিন্দা এলাকায় নানা অপকর্মের হােতা, মো. মিজানুর রহমান মিজু, সোহেল বেপারি, ইউসুফ বেপারি, রিয়াদ বেপারি ও জসিম বেপারি গং দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে চলতি মাসের ৯ ফেব্রুয়ারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের একটি পিকআপ গাড়ী পোড়ানোর অভিযোগ এনে সুজন ভাটদের পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির তদন্ত ভার দেন ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে, থানা পুলিশের এস.আই নুরুল ইসলাম মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করে ওই মামলার তদন্ত রির্পোট আদালতে পাঠান, বিজ্ঞ আদালত মামলার বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ফরোয়ানা জারী করলে, পুলিশ আসামীদের আটক করে আদালতে পাঠান, আদালত আসামীদের হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। বর্তমানে আদালত থেকে সুজন ভাটরা জামিনে রয়েছেন এবং ওই মামলাটির বিচারকার্য আদালতে চলমান রয়েছে। ওই মামলার আর্জিতে ঘটনার যে বিবরন দেওয়া হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়েই আদালতে তদন্ত রির্পোট পাঠিয়েছে বলে দাবী ভুক্তভোগীদের। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই সব হয়রানীর বিচারের দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ইতি পূর্বের বেশ কয়েকটি ঘটনায় আমাদের প্রতিপক্ষরা ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষের দ্বারা আমার আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার নিরীহ লোকদের জমি থেকে জোরপুর্বক মাটি কেটে নেয়া, চাঁদা দাবী করাসহ বিভিন্ন অত্যাচারের শিকার হয়ে খায়েরী বেগম, মনোয়রা বেগম, আ: ছমিদসহ আমাদের গ্রামের আরো কয়েকটি পরিবার আইনী সংস্থার কাছে বিচার প্রার্থনা করে অভিযোগ দেয়ার পর প্রতিপক্ষরা দোষী সাব্যস্ত হয়ে তারা মুচলেকা প্রদান করে।

ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছোবহান লিটনের পরিচালনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তার ষাটোর্দ্ধ পিতা সলেমান ভাট, ভাই আ: কাদের ভাট, আনোয়ার ভাট, মা আমেনা বেগম, আ: ছমিদ পাটওয়ারী, খায়েরী বেগম, সফিকুর রহমান গাদ্দাফী, হান্নান ভাট, শাহজাহান ভাট, ফাতেমা বেগম, ফরিদা বেগম, রহিমা বেগম, বাচ্চু গাজী ও পারভেজ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *