ফরিদগঞ্জের রূপসা দক্ষিণে নৌকা ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ, আহত-২০

স্টাফ রিপাের্টার:

ফরিদগঞ্জে আনারস মার্কার সমর্থনে আয়োজিত মোটর সাইকেল শোভা যাত্রায় সময় নৌকা মার্কার সমর্থকরা হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজার এলাকায় চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৫/২০ জন আহত হয়েছে এবং অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে নৌকার বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কাদের খোকন একটি মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি গৃদকালিন্দিয়া কলেজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা নৌকার প্রার্থীর মিছিলের মুখোমুখি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে ১৫/২০ জন আহত হন এবং অন্তত ২০ টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহতরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চাঁদপুর এবং লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের খোকন বলেছেন, আমরা শোভাযাত্রা নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম গৃদকালিন্দিয়া কলেজ এলাকয় পৌঁছলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শরীফ খান এবং তার সমর্থকরা আমাদেরকে হামলা করেছে। তারা আমাদের অন্তত ৩০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও অন্তত ২০/২৫ জনকে আহত করেছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তান্ডব দেখেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
খােকনের ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শরীফ খান ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচার চাই।’
এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শরীফ খান জানিয়েছেন, ‘আমি প্রতিদিনের ন্যায় কর্মীরাসহ বাজারে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম মহাসড়কে উঠলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা সন্ত্রাসী বিহিনী নিয়ে, আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আমি এ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনকে আহবান করছি।’এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদ হোসেন  বলেন, আচরণবিধি লংঘন করে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করছিলো আনারস প্রতীকের আবদুল কাদের খোকন ও তার সমর্থকরা। সেখানে বিপরীত দিক থেকে আসা নৌকার মিছিলের মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমি তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *