ফরিদগঞ্জে করোনায় দুশ্চিন্তার শেষ নেই গরুর খামারি-কৃষকের

মামুন হোসাইনঃ বৈশ্বিক করোনার কারণে ফরিদগঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক গো-খামারি ও কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সামনে কোরবানির ঈদ আসন্ন কোরবানির গরু ছাগল প্রস্তুত করে রাখার পরেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না তাদের। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের পর থেকেই কোরবানির পশু ক্রয়- বিক্রি শুরু হয়, অথচ ঈদের দু’সপ্তাহ বাকি থাকলেও এলাকায় কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় শুরু করতে না পারায় সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলা পশু সম্পদ কার্যালয়ের সূত্রমতে,উপজেলায় ৫ হাজার গরু ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হলেও বেসরকারিভাবে এর পরিমাণ দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।

প্রতিবারের মতো এবারও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় কয়েক হাজার গরু ছাগল লালন পালন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে খামারি এবং কৃষকের বাড়ি থেকেই বড় একটা অংশ পশু বিক্রয় হয়ে থাকে। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবার এখনও পর্যন্ত ব্যাপারী ও ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। করোনার কারণে ও লকডাউন দেয়ায় কেউ এলাকায় আসছেন না। । উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতিষময় ভৌমিক বলেন, উপজেলায় পর্যাপ্ত গরু ছাগল রয়েছে, এই করোনার কারণে হাট বাজারের কি অবস্থা হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

উপজেলার হর্নি দূর্গাপুর গ্রামের পাটোওয়ারী এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আকবর পাটোওয়ারী জানান, আমি ৩৬টি গরু প্রস্তুত করেছি। ধানুয়া গ্রামে ভাই ভাই ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী মাহফুজ জানান, ইদ সামনে রেখে আমি ৭০ টি গরু প্রস্তুত করেছি।এই দিকে পাটোওয়ারী বাজারের আরেকজন খামারী সেন্টু পাটোওয়ারী বলেন, পবিত্র কোরবানি ইদ সামনে রেখে আমি ৮০ টির উপরে গরু ছাগল প্রস্তুত করেছি। কয়েকজন খামারী বলেন আমরা গো-খামারি ঋণ নিয়ে গরু কিনে লালন পালন করছি, করোনার ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। গত বছরও করোনার কারণে লোকসান গুণতে হয়েছে এবারও তেমনটি হবার আশঙ্কা রয়েছে ।

এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অনেক কৃষক বাড়িতে দু’চারটে করে গরু ছাগল লালন পালন করেছেন। তারা জানান, বেশি দামে গোখাদ্য কিনে ও আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ করে যদি পশুর সঠিকমূল্য না পাওয়া যায় তাহলে তাদের বড় ধরণের লোকসানে পড়তে হবে। অনেক খামারি আশা করছেন ঈদের আগেই করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে এবং গরু নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারলে গরু বিক্রি করে লাভবান হবো। যদি করোনার কারণে কোরবানির পশু বিক্রি করতে না পারি তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *