স্পোর্টস ডেস্ক, আলোকিতফরিদগঞ্জ : ব্যাট ও বলের জমজমাট লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে এবারের বিপিএল আসর। দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আর সিলেট থান্ডার্সের ম্যাচ দিয়ে সূচিত হবে এবারের আসরের আসল লড়াই। আর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় হবে কুমিল্লা আর রংপুরের ম্যাচ।
পূর্বের নিয়মেই প্রতিদিন দুটি করে খেলা। ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। তারপর ১৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্ব চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে তৃতীয় পর্ব আবার ঢাকায়। ঢাকার পর্ব শেষে বিপিএল চলে যাবে সিলেটে। আর তারপর অবার ফিরবে শেরে বাংলায়। সেখানেই ১৭ জানুয়ারি ফাইনাল।
যেহেতু আগের ছয়বার একই ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে দল পরিচালিত হয়েছে, তাই প্রতিটি দলের একটি নির্দিষ্ট সমর্থকগোষ্ঠি তৈরি হয়েছে। সমর্থকদের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মত। এবার যেহেতু তা নেই। তাই বিপিএলের বল উইকেটে গড়ানোর আগে হৈ চৈ কম।
শুরুতে মনে হচ্ছিল বড় তারকাদের দেখা মিলবে না; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ততটা তারকাশূন্য থাকছে না এবারের বিপিএল। যিনি একাই এ আসরকে বরাবর আকর্ষণীয় করে রেখেছেন, সেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্বসেরা ও সফলতম ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলও আসবেন।
অবশ্য একদম শেষ ভাগে। তার স্বদেশি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের আরেক সফল ও কার্যকর পারফরমার আন্দ্রে রাসেলও এসেছেন। আগের দুইবার ঢাকার হয়ে খেলা এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার এবার রাজশাহীর হয়ে খেলবেন। এর সাথে আগেরবারের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান এবং টপ স্কোরার রাইলি রুশোও আছেন শুরু থেকে। খুলনার হয়ে খেলবেন এবার রুশো।
এর বাইরে মাঠের ক্রিকেট জমতে আরও একটি সহায়ক উপাদান অতি জরুরি। তাহলো উইকেট। অনেকেরই মত, আগের বারের মত স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মত বিশ্ব মানের তারকারা না থাকলেও যদি উইকেট ভাল হয়, রান ওঠে, হাই স্কোরিং গেম হয়, ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দে-সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেন, চার-ছক্কার ফুলঝুঢ়ি ছুটে, রানের নহর বয়ে যায়, তাহলে জমে উঠবে বিপিএল।
আসলে তারকা বেশি হলেই যে আসর জমে, তা নয়। আসর জমাতে সবার আগে দরকার মাঠের ক্রিকেটটা আকর্ষণীয় হওয়া। সেটা হবার পূর্ব শর্ত হলো আদর্শ উইকেট। এখন শেরে বাংলার পিচ কেমন হবে? কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট উপযোগি স্পোর্টিং পিচ তৈরি করতে পারবেন কি না? সেটাই দেখার।