ফরিদগঞ্জ ব্যুারো: ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেছেন- বাংলার স্বাধীনতার অগ্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশকে কতটুকু ভালোবাসতেন তা কোটি পাতার পুস্তুকে লিখে বা হাজার বছর বক্তব্য দিয়েও এর বর্ণনা শেষ করা যাবে না। তিনি এই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের জন্যই তার সৃষ্টি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদের স্বাধীনতাই এনে দেননি। তিনি এই জাতিকে স্বপ্ন দেখিছেন একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার। আজ তাঁরই যোগ্য কণ্যা বিশ্ব জন নন্দীত নেত্রী আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্ট্রা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার সেই স্বপ্ন বাস্তায়নে শত ভাগ সাফল্যের পথে। তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে আজ অসম্ভব্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য নেত্রী আজ শিক্ষাকে সবচাইতে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি এক সাথে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও হবে। যে দেশে কোন এক সময় শিক্ষার্থীরা বইয়ের অভাবে পড়াশোনা করতে পারতো না। আজকে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের আমেজে উৎসবে মেতে ওঠে। বছরের প্রথম দিন থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শ্রেণী শিক্ষা শুরু হয়। এই চিন্তা অতীতে কোন সরকার করেনি বিধায় আমরা তখন উন্নত বিশ্বের কাছে অনেক পিছনের জাতি হিসেবে পরিচিত ছিলাম। আজ বিশ্ববাসী বা বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে অবাক ও বিস্মিত। বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে ফলো করছে। তাই আজকে তোমরা যারা শিক্ষার্থী তারা অবশ্যই যোগ্য মেধাসম্পূর্ণ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠতে হবে। আর মেধা সম্পূর্ণ জাতি বা নাগরিক হতে হলে, দেশ ও বিদেশের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব নেতাদের তোমরা ফলো করবে। তাদের জীবনিকে রপ্ত করতে হবে। তবে মনে রাখবা যে শিক্ষার্থীর হৃদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা রয়েছে সে অবশ্যই সমৃদ্ধশালী নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বাসার উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আ’লীগের কেন্দ্রী নেতা মোঃ মহিউদ্দীন খোকার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরিদগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার সহিদ উল্যা তপদার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি মাও. শরাফাত, সাবেক চেয়ারম্যান, আব্দুল হক মিয়াজী, সেক্রেটার জাকির হোসেন বাবু, প্রধান শিক্ষক, যাদব কৃঞ্ষ, সাবেক সভাপতি, নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি জসিম উদ্দীন মিন্টু, উপজেলা আ’লীগের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, আ’লীগ নেতা, হোসেন সর্দর, জাকির হোসেন, যুবলীগ নেতা সফিকুর রহমান, রাশেদ, আশিক ও সোহাগ প্রমূখ।