ফরিদগঞ্জের চার গ্রামের মানুষের ভোগান্তির শেষ হবে কবে?

রুহুল আমিন খান স্বপনঃ দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে, তখন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা, ইছাপুরা, চৌমুখা, সাহাপুর এই চার গ্রামের মানুষ উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে যেন ছিটকে পড়ছে। ইছাপুরা পাটোয়ারী (চন্দের) বাড়ি থেকে সাহাপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার নেই দীর্ঘদিন ধরে। ফলে রাস্তার বড় বড় গর্তগুলো এখন এক একটা বিষফোঁড়ার মতো হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি, হয়ে যায় ধানের চারা রোপণের পূর্বে তৈরিকৃত মাঠের মত। এলাকাবাসীর এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে হয় উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্যে।
৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের কবি রূপসা, জামালপুর, বালিছাটিয়া, নদৌনা, দায়চারা, চৌমুখা, ইছাপুরার নাগরিকগণের ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার প্রধান রাস্তা এটিই। কিন্তু বর্তমানে এই রাস্তাটি গাড়ি (রিঙ্া, সিএনজি অটোরিঙ্া, ইজিবাইক) চলাচলের জন্য সম্পূর্ণভাবে অনুপযোগী। বর্ষায় কাদা পানি এবং শুষ্ক মৌসুমে বালির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়।
উপজেলা সদরে বা ইউনিয়ন পরিষদে যেতে এলাকাবাসীকে ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হয়। জরুরি চিকিৎসা নিতে এই রাস্তায় আসতে পারবে না কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা অনাকাঙ্ক্ষিত অগি্নকা- হলে আসতে পারবে না কোনো ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও। ঈদে ঘর ফেরত মানুষের যোগাযোগ কিছুটা সহজ করতে বিগত ঈদুল আজহার পূর্বে স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের স্বেচ্ছাশ্রম এবং আর্থিক সহযোগিতায় মোটামুটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিলো। কিন্তু গত ক’দিনের ভারী বর্ষইে তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে সড়কটি।
এই ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত মোঃ রফিক উল্ল্যাহ, বশির উল্ল্যা, আব্দুল লতিফ জানান, এই ইউনিয়নটি নানাভাবে একটি আদর্শ ইউনিয়ন। সাবেক এমপি মরহুম রাজা মিয়া স্যারের স্মৃতি বিজড়িত গ্রাম হলেও গত এক দশকে এই ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। পুরো ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র কয়েকটি সড়ক পাকা, বাকিগুলোর অবস্থা তথৈবচ। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী হায়দার উজ্জ্বল ও সাইফুল ইসলাম জানান, মানুষের দুর্ভোগ দেখার মত নয়। সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে কেন আমাদের ইউনিয়নটি বঞ্চিত হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী জানান, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণসহ বাকি সড়কগুলোও পাকাকরণের প্রস্তবনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন হচ্ছে না তা বুঝতে পারছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *