ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: সৌদি আরবের নিরাপত্তায় দেশটিতে আরও কয়েক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি অ্যারামকোর স্থাপনায় হামলার ঘটনায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, জেদ্দা উপূকলে ইরানের তেলবাহী ট্যাঙ্কারে পরপর দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। হামলার পেছনে যেই জড়িত থাকুক উপযুক্ত জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
ইরানকে শায়েস্তা না করলে ভুগতে হবে গোটা বিশ্বকে। কয়েকদিন আগে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপরই দেশটির জেদ্দা বন্দর থেকে ৯৬ কিলোমিটার দূরে লোহিত সাগরে ইরানের তেলবাহি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইরান বলছে, একবার নয় পরপর দুইবার ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও সমুদ্রে মিশতে শুরু করেছে জাহাজের তেল। এ ঘটনার পর রিয়াদ এবং তেহরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ বাড়তে শুরু করেছে। যদিও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো দায় স্বীকার করা হয়নি। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের দাবি, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগারে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে রিয়াদ।
এমন পরিস্থিতিতে সৌদি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় দেশটিতে আরো কয়েক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সৌদি আরবে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক ইস্পার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। দেশটির ওপর ইরান যাতে কোনোভাবেই আগ্রাসন চালাতে না পারে সেজন্য আরো সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে তারা আমাদের আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ইরানের হুমকি মোকাবিলায় প্রয়োজনে সৌদি আরবে থাড ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে।