ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: কয়েক দশকের মধ্যে সবেচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘হাগিবিস’ আঘাত হানতে যাচ্ছে জাপানে। শনিবার দেশটির মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। রাজধানী টোকিওতে গত ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ফ্লাইট ও ট্রেন যাত্রা বাতিল করেছে সংশ্লিষ্টরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। একের পর এক শক্তিশালী ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলীয় এলাকায়। এ উত্তাল সমুদ্রই জানান দিচ্ছে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিস।
এরই মধ্যে টাইফুনের প্রভাবে দেশটির অধিকাংশ জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস। ‘হাগিবিসিকে’ গেল ৬০ বছরের মধ্যে সবেচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন উল্লেখ করে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। রাজধানী টোকিওসহ দেশটির পূর্বাঞ্চলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঝড়টি।
টোকিওর প্রধান দু’টি বিমানবন্দরসহ শনিবারের হাজারো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে পর্যটকসহ স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এদিকে, ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রস্তুতি নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, শক্তিশালী টাইফুনের কারণে বিশুদ্ধ পানিসহ খাবারের সংকট দেখা দিতে পারে। এজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা করছি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। উদ্ধারকর্মীরা তৎপর রয়েছে বলে জনিয়েছেন তিনি।জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, এটি খুবই শক্তিশালী টাইফুন। ভারী বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে নাগরিকদের সুরক্ষায় আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের কাছে সবার নিরাপত্তা প্রাধান্য। এদিকে, জাপানে অনুষ্ঠিত রাগবি বিশ্বকাপের শনিবারের দু’টি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
টাইফুন হাগিবিসের তীব্রতাকে ১৯৫৮ সালের টাইফুন ‘ইডা’র সঙ্গে তুলনা করছেন জাপানের আবহাওয়াবিদরা। ওই বছর টাইফুনের তাণ্ডবে পূর্ব ও মধ্য জাপানে হাজারো মানুষ প্রাণ হারায়। তবে, এ যাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে জাপান সরকার।