ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আজীবন বহিষ্কারের দাবির পাশাপাশি অবিলম্বে মামলার চার্জশিট প্রকাশসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে বুয়েটের শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। আবরার ফাহাদের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আবরারকে হত্যাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সন্ত্রাস দখলদারিত্বমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্র জোট।এদিকে আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে বুধবার দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত পাঁচজন আহত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জবি ক্যাম্পাস ও আশপাশের রাস্তাঘাট। আবরার হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও পথনাট্য ‘অবয়ব’ প্রদর্শন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন রঙ্গভূমি। এদিকে আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) মশাল মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ধরে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। মিছিল পরবর্তী সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। এছাড়াও আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে বুয়েটের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুক এলাহি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।