সাংবাদিক রুহুল আমিনের ছোট মেয়ের জন্মদিনে বাবা-মার শুভেচ্ছা

 
২ সেপ্টেম্বর ছিলো আমাদের ছোট মেয়ে শাহাজাদী শারীকা প্রভার জন্মদিন। এই দিনে আমরা তার সুন্দর আগামী আশা করি। আমরা চাই শারীকা বড় হয়ে মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করুক। 
শারীকা এবার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ও গান করে কবিতা লেখে। বড় দুই বোনেরমত সেও বই পড়ে। বইয়ের প্রতি তার অনুরাগ সেই ৩য় শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় থেকে। রাত্রে শ্রেণির পড়ালেখা শেষ করে সে বাবা-মাকে লুকিয়ে টর্চের আলোতে শীতের দিনে লেপ মুড়িয়ে বই পড়ে।  ইতিমধ্যে তার তিনটি কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি কবিতা তার লেখা রয়েছে যা খুব শীঘ্রই পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠানো হবে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আয়োজিত সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সে নিয়মিত অংশ গ্রহন করে থাকে। গান শেখা ও কবিতা লেখার মুল অনুপ্রেরণা শাহজাদীর মায়ের। তার মা ছোটবেলায় নিজের গান শেখার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও তা হয়ে উঠেনি। তাই নিজের স্বপ্নটা মেয়ের মধ্যদিয়ে মিটাতে চান শারীকার শিক্ষিকা মা।
শারীকা ও তার বড় দুই বোনেরা বই পড়ায় বাবার দেয়া উৎসাহে তার মায়ের কিছুটা অপছন্দের। তার মায়ের কথা বাচ্চরা পাঠ্য বইয়ের বাহিরে গল্পের বই পড়ে বেশি সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। তবে মা চায় পরিমিতভাবে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যবইও পড়ুক। মা-বাবা দুইজনকে সমান ভালোবাসে শারীকা।
বাবার সাংবাদিকতা পেশা ভিষণ পছন্দ শারীকার। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশাকে তার মা ভিষন অপছন্দ করেন। তার মায়ের বক্তব্য হচ্ছে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে সত্য কথা লিখতে গিয়ে শারিকার বাবাকে ইতিমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুইটি মামলায় পড়তে হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বাবা একটি মামলায় একমাস  ও অন্যটিতে ১৫দিন জেল খাটতে হয়েছে। তার বাবার বিরুদ্ধে হওয়া দুইটি মামলাই এখন চলমান রয়েছে। যার জন্য তার বাবাকে সামাজিক বৈরীতা ও অর্থকষ্টের মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে। কিন্তু শারীকার ইচ্ছা সেও বাবারমত সাংবাদিক হবে।সাংবাদিকতা করা তারমতে অনেক সন্মানের। তার বক্তব্য হচ্ছে মিথ্যা বলে বা লিখে কি সাংবাদিক হওয়া যায়? তার ইচ্ছা সে বড় হয়ে একটি সন্মানজনক পেশার পাশাপাশি ফ্যাশান হিসাবে সাংবাদিকতা করবেন। 
শারিকার জন্মদিনে আমরা বাবা-মা হিসাবে দোয়া করি সে যেন তার জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে পারে। দোয়া করি মহান রাব্বুল ইজ্জত তাকে আলোকিত মানুষ হিসাবে কবুল করুন।
সকল বন্ধুদের নিকট আমাদের ছোট মেয়ে শাহাজাদী শারিকাকে দোয়া করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *