ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর এ ছয় জেলা নিয়ে গঠিত কর অঞ্চল কুমিল্লায় বিগত দু মাসেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকার বেশি আয়কর আদায় হয়েছে। যা অতীতের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। এ সাফল্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রমের জন্যে কর অঞ্চলের ২২টি কর সার্কেলের ডেপুটি কমিশনারবৃন্দ এবং রেঞ্জ কর্মকর্তাগণকে ধন্যবাদ জানান কর অঞ্চলের কমিশনার এম এম ফজলুল হক।
কর অঞ্চল কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষ ‘ময়নামতি’তে কর কমিশনার-এর সভাপতিত্বে গত বুধবার অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব সভায় এসব তথ্য উপস্থাপিত হয়। সভায় করদাতাবৃন্দের জন্যে সেবাবৃদ্ধির লক্ষ্যে পূর্ববর্তী রাজস্ব সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তবলির বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচিত হয়। কর পরিশোধের জন্যে করদাতাবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাতেও কর কমিশনার সকলকে অনুরোধ জানান। করবান্ধব পরিবেশে সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে করদাতাদের মন জয় করতেও তিনি কর্মকর্তাদের পরামর্শ প্রদান করেন।
সভায় জানানো হয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ কোটি টাকারও বেশি আয়কর রাজস্ব আদায় ছাড়াও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কর জরিপের মাধ্যমে দু’মাসে রেকর্ড সংখ্যক প্রায় ৭ হাজার নতুন করাদাতা করনেটে সংযুক্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, পূর্ববর্তী ২০১৮-১৯ বছরে সাকুল্যে ২৫ হাজার নতুন করদাতা কর নেটভূক্ত হন।
কর মামলার নিরীক্ষা ও নিষ্পত্তি কার্যক্রমে কয়েকগুণ গতিবৃদ্ধি হওয়ায় সৃষ্ট দাবি আদায়ে মনোযোগী হতেও কর কমিশনার সকলকে অনুরোধ জানান। বহু করদাতাই রিটার্ন খেলাপী হওয়ায় আলোচ্যবর্ষে রেকর্ড সংখ্যক রিটার্ন দাখিলে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে উৎসবের পরিবেশে আসছে ১৪-১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফলপ্রসূ কর মেলা আয়োজনেও সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ৬টি জেলা ও উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য কর মেলার বিস্তৃত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি সভায় আলোচিত হয়।
সভায় আগামী তিন মাসের রাজস্ব কার্যক্রমের দিনভিত্তিক কর্মপরিকল্পনাসহ রাষ্ট্রীয় কর সেবা বৃদ্ধিসহ রাজস্ব কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রাজস্ব সভা শেষে সুনির্দিষ্ট ৪টি বিষয়ে ডেপুটি কমিশনারবৃন্দ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি এমএম ফজলুল হক কর অঞ্চলের সকল লক্ষ্য অর্জনে অভীষ্ট থাকতে সকলকে অনুরোধ জানান। কর অঞ্চলের সকল কার্যক্রমে সকলের আন্তরিক সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।