ফরিদগঞ্জের বিরামপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় দোকান ভাংচুর ও লুটপাট

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর বাজারস্থ ভাই ভাই ইত্যাদি স্টোরে ভাংচুর, লুটপাট ও বাদীপক্ষের কয়েকজনকে জখম করছে এক সন্ত্রাসী দল। বুধবার ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় দোকানে দায়িত্বে থাকা আব্বাছ হওলাদারকে এলাকায় ব্যবসা করার সুবাধে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা চায় মিঠু গাজী। চাঁদা না দেয়ায় মাদক সেবক মিঠু গাজী তার ১০/১৫জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার দোকানে ভাংচুর ও দায়িত্বে থাকা আব্বাছকে আহত করে ক্যাশ থেকে এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় পাশ্ববর্তী আ: ছালাম, এমরান, নোমান মাল ও আ: মান্নান দৌড়ে এসে সমস্যা সামাধান করতে চাইলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি লাথি মারিয়া ও লাঠি দিয়া আঘাত করিয়া জখম করে বলে জানায় দোকানের মালিক মো: তোফায়েল বেপারী।
বিবাদী পক্ষের মিঠু গাজীর পিতা নেছার গাজী জানান, দোকানে ভাংচুর করেছে এটা সত্য আমি তা পরবর্তীতে গিয়ে দেখেছি। তাবে এ ধরনের ঘটনা দু:খ্যজনক। আমরা সবাই বসে তা সমাধান করার চেষ্ঠা করছি। বাদীপক্ষের ১নং স্বাক্ষী আব্বাছ জানায়, আমি দোকানে বসে ছিলাম হঠাৎ করে নাঈম বেপারী ও মিঠু গাজী বলে আমাদের এলাকায় ব্যবসা করতে হলে ৫০,০০০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি তখন তাদেরকে টাকা না দিলে তারা কিছুক্ষন পর দশ থেকে পনের জন সন্ত্রাসী ক্যাডার নিয়ে দোকানে ভাংচুর করে আমাকে আহত করে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে আমার জ্ঞান ফিরে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাসান আব্দুল হাই জানায়, বাজারে দোকানে ভাংচুর হয়েছে আমি শুনেছি। আমার প্রতিনিধি সেখানে পরবর্তীতে দেখে আসছে। এবং ঘটনার পর থানা পুলিশ সেখানে গিয়েছে বলে জানান। বাজার ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানায়, ঘটনাটি দোকানের আব্বাছ, নঈম ও মিঠুর সাথে মাল বিক্রয় বিষয় কথা কাটাকটির এক পর্যায় ভাংচুর ও মারামারি হয়েছে। তবে এ ধারনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা দু:খজনক। ফরিদগঞ্জ থানার এস আই আউয়াল থেকে জানা যায়, বুধবার বিরামপুর বাজারে ভাই ভাই ইত্যাদি স্টোরে ভাংচুর হয়েছে। আমারা ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিদর্শন করি। এ ব্যাপারে দোকানের মালিক তোফায়েল বেপারী বুধবার ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। আমরা শীঘ্রই হামলাকারীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবো। বাদীপক্ষের আব্বাছ হাওলাদার জানান, চরদু:খিয়ার নাঈম বেপারীর(২৬) পিতা- আ: মান্নান বেপারীর নেতৃত্বে মিঠু গাজী(২৬) পিতা-নেছার গাজী, রাকিব বেপারী(২৫) পিতা- হোসেন বেপারী, রিয়াজ বেপারী (২৪) পিতা- টিটু বেপারী, মাসুম গাজী (২৮) মনির গাজী, পবন বেপারী (২৩) পিতা- খোকন বেপারী, আফসার হোসেন (২৪) পিতা- আনিছ গাজী, জাফর গাজী (২৬) পিতা-সৌরভ গাজীসহ আরো ৭/৮জনে দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে নিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্ঠা করে। আমি প্রশাসনের কাছে এর একটি সঠিক বিচার চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *